বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগর থেকে উপকূলে ফিরছে ট্রলার, নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২

সাগর থেকে উপকূলে ফিরছে ট্রলার, নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটিয়ে সাগরে মাছ শিকার শেষে কক্সবাজার উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে একের পর এক ট্রলার। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। হতাশ জেলেরা বলছেন, যা পেয়েছেন তা বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। আর মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বেশি থাকায় আকারভেদে একশ ইলিশে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

একের পর এক বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। এতে গেল ২০ দিন সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারেননি জেলেরা। অবশেষে বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সাগরে মাছ শিকারে ট্রলার নিয়ে যান জেলেরা। এখন প্রতিদিনই এসব ট্রলার একে একে ঘাটে ভিড়ছে।

কিন্তু জেলেদের মুখে নেই হাসি। বলছেন, সাগরে জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। জেলেরা বলেন, অন্যান্য দিন আমরা তিন থেকে চার হাজার মাছ পাই। এখন আর সেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আর এতে সমস্যা হচ্ছে আমাদের যে খরচ হচ্ছে, মাছ বিক্রি করেও তা তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

 ঘাটে ফেরা প্রতিটি ট্রলারে ছিল ২০০-৮০০ ইলিশ। এসব ইলিশ রাখা হয়েছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে। চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইলিশ নিয়ে লেগে যায় কাড়াকাড়ি। তবে দাম বাড়তি জানালেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের দাম অনেক বেশি। চাহিদা বেশি, তবে জোগান কম হওয়ায় দাম বেশি।
 
এদিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ জন্য দ্রুত ড্রেজিংয়ের কথা বলছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করে নাব্যতা রাখা না হলে আমাদের নৌযান মাছ নিয়ে ঘাটে ফেরার আগেই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ড্রেজিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
 
কক্সবাজারে নিবন্ধিত যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০। আর নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।

0 Comments