বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে ওমরাহ পালন হজের সমতুল্য ইবাদত

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ১১, ২০২২

রমজানে ওমরাহ পালন হজের সমতুল্য ইবাদত
ইবাদতের মাস রমজানে অন্যান্য ইবাদতের সঙ্গে ওমরাহ পালনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রমজানে ইবাদত ও ওমরাহ পালনের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে জান্নাতের পথে এগিয়ে যেতে পারেন।

ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ  জিয়ারত, দর্শন বা ভ্রমণ করা। আর শরিয়তের পরিভাষায় বিশেষ পদ্ধতিতে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কাবা শরিফের চতুর্দিকে তাওয়াফ করা, ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ পাহাড়দ্বয়ের মধ্যস্থলে সায়ি করা এবং মাথা ন্যাড়াকে ওমরাহ বলে।
 
ওমরাহ পালন মর্যাদাপূর্ণ একটি স্বতন্ত্র ইবাদত হলেও রমজানে ওমরাহ পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.) বলেন, রমজানে ওমরাহ পালন করা হজের সমতুল্য ইবাদত। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮২)

বছরের ৫ দিন ব্যতীত অর্থাৎ ৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত ওমরাহর ইহরাম বাঁধা মাকরুহ তাহরিমি। এ সময় ছাড়া বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা জায়েজ।
 
ওমরাহ পালনের ফজিলত
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত মাঝখানের গুনাহগুলোর জন্য কাফফারাস্বরূপ। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, হজ ও ওমরাহ আদায় করলে দারিদ্র্যবিমোচন ও গুনাহ দূর করে দেন মহান আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)
0 Comments