সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়া সাহসের দু’টি ইটভাটা তিন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চোখের পানির কারণ

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ৯, ২০২৪

ডুমুরিয়া সাহসের দু’টি ইটভাটা তিন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চোখের পানির কারণ
স্বপ্নীল হকঃ
বাতাসে যখন ধোঁয়া আসে, তখন চোখ খুলে রাখা যায় না। চোখে পানি চলে আসে।’ জয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ইটভাটার ধোঁয়ায় অতিষ্ঠের প্রতিক্রিয়া এমনি। ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের দু’টি ইটভাটা সংশ্লিষ্ট এলাকার তিনটি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চোখের পানির একমাত্র কারণ। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তাতেও সুরাহা না হওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
স্মারকলিপিতে ডুমুরিয়ার সাহস ও জয়খালী মৌজায় ভদ্রা নদীর পাশে ১/১ খতিয়ানের উপর অবস্থিত টিএম এবং এসবি নামের দু’টি অবৈধ ইটের ভাটা সরেজমিনে তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে এলাকার বায়ু দূষণ রোধে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ; একই সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে উলে­খ করা হয়েছে, ডুমুরিয়া উপজেলাধীন ৯নং সাহস ইউনিয়নের সাহস জয়খালী গ্রামের মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন শেখ সাহস ও জয়খালী মৌজায় ১/১ খতিয়ানের উপর টিএম এবং এসবি নামের দু’টি অবৈধ ইটের ভাটা করেছেন। ভাটা দু’টি সাহস জয়খালী ও সাহস মধ্যপাড়া এবং সাহস গুচ্ছ গ্রামের ঘনবসতি এলাকাসহ সাহস জয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৮ম শ্রেণি অনুমোদিত) থেকে মাত্র ৩৫০ মিটার দূরত্বে, সাহস মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৮০০ মিটার এবং সাহস গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৯০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ভাটা দু’টিতে যখন ইট পোড়ানো হয় তখন কয়লার কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হয়। ফলে এলাকার লোকজনসহ তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে হাচি-কাশি শাসকষ্টসহ দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। কারণ ইটভাটা দু’টি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বে তৈরি না করে এলাকার ঘনবসতি ও তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকটে স্থাপন করা হয়েছে।
অপর দিকে টিএম এবং এসবি নামের ভাটার মালিক মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন শেখ সাহস মৌজায় ভদ্রা নদীর ১/১ খতিয়ানের উপর ইট তৈরির জন্য প্লট তৈরি করেছেন। ইট পোড়ানোর জন্য চেম্বার/চিমনী তৈরি করেছেন। এসব জমি সরকারের মালিকানা। তাই সরকারি স্বার্থে এসব জমির উপর নির্মিত সকল স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
0 Comments