সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্ক কমলেও বাজারে কাটছে না অস্থিরতা!

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

শুল্ক কমলেও বাজারে কাটছে না অস্থিরতা!
শুল্ক কমালেও বাজারে কাটছে না অস্থিরতা। চাল, ডাল, আলু, ভোজ্য সয়াবিনসহ সবজির বাজারে চড়া। খুলনায় দিন দিন অগ্নিমুখি হয়ে উঠছে এসব পণ্যসামগ্রী। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা। আশি টাকার নিচে মিলছে না অধিকাংশ সবজি। একই সাথে কমছে না চালের দাম। পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমলেও এর প্রভাব পড়েনি খুলনার বাজারে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই কমছে এসব জিনিস ও পণ্য মূল্য। এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় কৌশলে পকেট কাটছে ভোক্তাদের।    
গতকাল শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা, কুশি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 
অথচ গত ৫ অক্টোবর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, বেগুন ১৪০ টাকা, কাকরল ১২০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কাকরল ১২০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, উচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, কাকরল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 
দৈনন্দিন জীবনে আলু গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য। কোনোভাবে মূল্য হ্রাস হচ্ছে না এ পণ্যটির। অন্তত ছয় মাসের অধিক সময় ধরে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। পেঁয়াজ ও আলুতে শুল্ক কমালেও এখনো কার্যকর হয়নি। আইন করলেও বাস্তবে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিলেও বাস্তবে এখনো কার্যকর হয়নি। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। কমেিেন কাঁচাকলার দাম। 
শুক্রবার কাঁচাকলা প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। যা গত ৫ অক্টোবর প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। দিনদিন উর্ধ্বমুখি হয়ে উঠছে চালের বাজার। কোনো ভাবে কাটছে না চালের বাজারে অস্থিরতা। এখনো বাড়ছে চালের মূল্য। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আঠাশ বালাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭২ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫২ টাকা, আঠাশ বালাম ৬০ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭০ থেকে ৭২ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মোটা চাল (স্বর্ণা) ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, আঠাশ বালাম ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ভালো মানের ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা, বাসমতি ৭০ থেকে ৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।  


কমছে না পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের উপর শুল্ক কমালেও এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি। ভ্যাট কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিলেও বাস্তবে কার্যকর হয়নি। কমছে না মশুর ডালের দাম। মাসের পর মাস চড়া দামে বিক্রি পণ্যটি। প্রতিকেজি মশুর ডাল (সরু) ১৪০ টাকা ও মশুর ডাল (মোটা) ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। লিটারপ্রতি যা বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কমছে না চিরি দাম। শুক্রবারও খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১৪০ টাকা ও লাল চিনি (প্যাকেটজাত) ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

এদিকে কমেনি মুরগির দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও কক মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দীধর্ঘদিন ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। কমছে না ডিমের মূল্য। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। বাজারে প্রতিকেজি লালশাক ৬০ টাকা ও ঘিকাঞ্চন শাক ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

নগরীর ময়লাপোতাস্থ কেসিসি আসা ক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন, পণ্য ও জিনিস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকার আলু, পেঁয়াজের দাম কমাতে বললেও বাস্তবে কাজে আসছে না। তিনি বলেন, যতদিন বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা না নেওয়া হবে ততদিন দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। 

চাল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, চালের বাজার উর্ধ্বমূখি। চালের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। 
0 Comments