মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় জনতার হাতে বিজিবির দুই ও পুলিশের এক সদস্য আটক

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ২১, ২০২৪

সাতক্ষীরায় জনতার হাতে বিজিবির দুই ও পুলিশের এক সদস্য আটক
স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাঁকা সড়কে ফেলে পালানোর সময় সাতক্ষীরায় দুই বিজিবি ও এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে জনতা। বিজিবি সদস্যের কাছে মিলেছে তিনটি স্বর্ণের বার। পুলিশ বলছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল না।
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিজিবি পোশাক পরিহিত দু’জনসহ, সাদা পোশাকে আরও দু’জন সাতক্ষীরা জেলার অজ্ঞাত স্থান থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে আটক করে প্রাইভেটকারের পিছনের বক্সে করে নিয়ে আসে। জাকির সাতক্ষীরা সদর থানার মাছখোলা গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে। পরে তাকে তালা থানার ইসলামকাটি বদর মোড় থেকে তালা অভিমুখি রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেকারে থাকা বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা তালা অভিমুখে পালিয়ে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় এলাকাবাসী ইসলামকাটির ওই ঝোপের মধ্যে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ওই ব্যবসায়ীকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  
পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সুজনশাহ বাজারে স্থানীয় জনতা ব্যারিকেড দিয়ে একটি এপাসি মোটরসাইকেল যার নং ঢাকা মেট্রো- ল ২১-৫৫০৮ ও প্রাইভেটকার যার নং ঢাকা মেট্রো-গ ১৩-৮৬০১ সহ তিনজনকে আটক করে। এ সময় তারা নিজেদের বিজিবি সদস্য দাবি করেন দু’জন ও বিজিবির পোশাক রেখে একজন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তারা। জনতার হাতে আটকদের একজন তিন পিস স্বর্ণের বার তুলে দেন বিজিবি কর্মকর্তার নিকট। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে দুই বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এদিকে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চান না ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বড় ভাই শাহাবাজ আলী। ওই রাতেই ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তালা থানায় আসেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদন্নতি পুলিশ সুপার) মোঃ সজিব খাঁন। 
ঘটনা নিয়ে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির সদর দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। তবে আটক পুলিশ সদস্য রাশেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে ডিবি পুলিশের হেফাজাতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তালা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হেসেন জানান, জনতার হাতে আটক দুই জন প্রকৃত বিজিবি সদস্য, একজন পুলিশ কনস্টেবল। তাদের উদ্দেশ্য সঠিক ছিল না বলছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারটি তালা থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তালা থানায় কোন মামলা রুজু হয়নি। 
0 Comments