সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা করেননি উপদেষ্টারা’

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ২৫, ২০২৪

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা করেননি উপদেষ্টারা’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, আন্দোলনের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক হতে হবে তা নয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রলীগ ছাড়াও আরও কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না-এ প্রশ্নের উত্তরে রিজওয়ানা বলেন, সংবাদপত্রে ছাত্রলীগকে নিয়ে অনেক নিউজ হয়েছে। আমরা সবাই দেখেছি, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন থেকে শুরু করে যে কয়টি ছাত্র আন্দোলন হয়েছে সবখানে আমরা ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী ভূমিকায় দেখেছি। তখন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বলেছে এদের ম্যানেজ করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের নিষিদ্ধ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে জুলাই গণহত্যার পরে তারা থেমে গেছে তা নয়। আদালত থেকে তারা বেশ কয়েকবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। বর্তমানে প্রধিকার বিবেচনায় আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অন্য কোনও রাজনৈতিক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কোনও আলোচনা হয়নি। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি আলোচনা হয়নি।
ছাত্রলীগের অনেকে এখনো মাঠে আছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন-এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, যারা দোষী-সন্ত্রাসী তাদেরও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মব জাস্টিজের পক্ষে না। মামলা অনুযায়ী তাদের গ্রেফতার করে বিচার কাজ চলবে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলাতক বা নিখোঁজ থাকলে বিচার হবে না এটি নয়। পলাতক বা নিখোঁজ থাকলেও বিচার হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাগাম টানতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রস্তাবনা এসেছে। সরকার অন্য ইস্যুর মতো সেটা বিবেচনা করছে। এটা তো সংলাপের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়। সবগুলো রাজনেতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
0 Comments