বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ১ যুগ পর আ’লীগ নেতার দখল থেকে মুক্ত হলো শিরোমনিতে প্রশিকা গলদা চিংড়ি হ্যাচারি

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

দীর্ঘ ১ যুগ পর আ’লীগ নেতার দখল থেকে মুক্ত হলো শিরোমনিতে প্রশিকা গলদা চিংড়ি হ্যাচারি
স্বপ্নীল হকঃ
বিগত চার দলীয় সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে নগরীর শিরোমনি এলাকায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৫ একর ৬৭ শতক জমি ক্রয় করে বেসরকারি সংস্থা প্রশিকা। পরে পুরো জমি জুড়ে সেখানে প্রশিকা গলদা চিংড়ি হ্যাচারি নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে গত দুই যুগ ধরে গলদা এবং সাদা মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি মাছ চাষ করে আসছে। চারদলীয় জোট সরকারের পট পরিবর্তনের পর এ প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর আসে একটি কুচক্রি মহলের। সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের সহযোগিতায় খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেনের হাত থেকে রেহায় পায়নি প্রশিকার এ প্রতিষ্ঠানটিও। 
প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহম্মদ স্থানীয় খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেনের ভাই কামাল হোসেনকে ২০১২ সালে মে মাসে শিরোমনি হ্যাচারী ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দেয়। এরপর কামাল হোসেন ও তার ভাই আ’লীগ নেতা শেখ আবিদের সহযোগিতায় দখল নেন। আর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এ দখলবাজির কাজে সহযোগিতা করে প্রশিকার সাবেক কর্মী অজয় কুমার দে, বাকের আহম্মেদ, আঃ সোবহান গং। তারা সে সময় থেকে হ্যাচারী বিভিন্ন স্থপনা ভাড়া দেয় এবং মালামাল লুটপাট ও বিক্রয় করে। শুধু তাই নয় সেখানে রাতের আধারে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসানো হতো। 
কাজী ফারুকের যোগসাজগে আ’লীগ নেতা শেখ আবিদ ও তার ভাই কামাল প্রশিকার জমি বায়নার মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করে। জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস, থানা সাব রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয় প্রশিকার খুলনা ডেভলপমেন্ট অথরিটি। সে সময়ে বায়না রেজিস্ট্রি বন্ধ করা হয়। 
প্রশিকার সিনিয়র পরিচালক শেখ সাহিদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১ যুগ পর আমরা আমাদের শিরোমনি হ্যাচারী নিয়ন্ত্রণে পেয়ে আনন্দিত, আশা করি এলাকার জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠান পুনরায় তার জৌলস ফিরে পাবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা রাখবে। 
তিনি আরো বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু যারা এতদিন জবর দখল করে রেখেছিলো তারা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
প্রশিকার ফুলতলা উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এতদিন এখানে আসতে পারিনি রাজনৈতিক কারণে। প্রশিকা খানজাহান আলী উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক কাজী সালাউদ্দীন বলেন, অত্র হ্যাচারীটি আমার আওতাধীন উন্নয়ন এলাকার অংশ আমাকে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর চট্টগামের মিরসরাই উন্নয়ন এলাকা হতে বদলী করে অত্র উন্নয়ন এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে আমি এই উন্নয়ন এলাকার দায়িত্ব ও হ্যাচারীর দায়িত্ব পালন করছি। 
0 Comments