আবু হেনা মুক্তিঃ
কর্মই মানুষকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করে। তেমনি এক সব্যসাচী কর্মবীর কৈলাস চন্দ্র রবিদাস। কর্মের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন যিনি।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে পদ পেয়েছেন কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস।
দৈনিক গণমুক্তি ও ডেইলি মর্নিং ভয়েস সম্পাদক রিপন তরফদার নিয়ামের অফিসে বিশেষ এক আলাপচারিতায় তার বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত কথা হয়। তার সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনীতি ফিরে দেখা ৫ ই আগস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। অত্যন্ত দীপ্ত ও ঝানু খেলোয়াড়ের মত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। তিনি মানুষের জন্য কিছু করতে চান এটাই তার মূল লক্ষ্য। কৈলাস গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে নতুন ধারার রাজনীতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসাইন স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি সংগঠনের অফিসিয়াল পেজ প্রকাশিত হয়। সেই কমিটিতে যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে কৈলাশ চন্দ্র রবিদাসের নাম এসেছে। এছাড়া পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জুলাই আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার আরাজীকুমোরপুর গ্রামের মধুসূদন রবিদাসের সন্তান। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি রবিদাসসহ, দলিত, হরিজন ও তফসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস এমএসসি, এলএলবিতে পড়াশোনা শেষ করার পর ল্যাংকাস্টার ইউনিভার্সিটির (লন্ডন) একটি নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত রয়েছেন। সেখানে তিনি গেস্ট লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস। এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
মানবিক ছাত্র নেতা ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত লড়াকু এই যুবক। রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রপথিক হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।
কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস বলেন, "রবিদাস সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে মূল রাজনৈতিক দলে নাম লেখালাম। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। স্থানীয় সরকারের মান উন্নয়ন করা। স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও বেশি শক্তিশালী করা।"
তিনি বলেন, "যেন প্রান্তিক পর্যায়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যায়। গণতন্ত্র, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক আমাদের মৌলিক নীতি। যার ভিত্তি সাম্য, মর্যাদা, নাগরিক অধিকার। অবহেলিত উত্তরের জনপদেরসহ সারাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন আমার পথচলার লক্ষ্য। অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষদের হয়ে লড়াই করতে চাই, কাজ করতে চাই মা, মাটি ও মানুষের জন্য।"
কৈলাস চন্দ্র রবিদাস বলেন আমার মনে হয় এখনো অনেক অনেক বেশি কাজ বাকি। গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিল সেই গণতন্ত্র যদি ফিরে না আসে তাহলে তাদের আত্মা ঢুকরে ডুকরে কাঁদবে বাংলার মাটিতে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েই আমরা এই ভিষণে নেমেছি। নিশ্চয়ই আমজনতা আমাদের পথ দেখাবে।