শামীম চৌধুরীঃ
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আমলে এক যুগে ২ হাজার ৭ শত কোটি টাকা কীভাবে ক্রিকেট বোর্ড কতোটা খেয়ালখুশি মতো খরচ করেছে তা গণমাধ্যমে এসেছে খুবই সামান্য। বাংলাদেশের ব্যস্ত ক্রিকেট আর তারকাদের গল্প লিখতে,বলতে, ভিউ বাড়ানোর পেছনে ছুটেছে বেশি মিডিয়া। সে কারণেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিপক্ষে দুদকে অভিযোগ এবং মামলা আকারে তা গৃহিত হওয়ার নিউজ মিডিয়াতে চোখে পড়েনি। বিসিবি সিইওকে ক্রীড়া মন্ত্রানালয়ের নোটিশ এবং জেরার খবরও থেকেছে অপ্রকাশিত।
বিসিবির আর্থিক অনিয়ম এবং গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির ভুমিকা নিয়ে যমুনা টিভি-তে স্যাটারডে নাইট অনুষ্ঠানে ৬ বার আলোচনা করেছি। চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং এনটিভিতেও এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এসব আলোচনাকে কিছুটা হলেও বিসিবি দিয়েছে গুরুত্ব। বিসিবির সভায় এসব নিয়ে উঠেছে কথা। যদিও এই বিষয়টি গণমাধ্যমে আসেনি। তারপরও গত ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ৭ নম্বর এজেন্ডায় একটি অডিট ফার্মকে দিয়ে বিপিএলের প্রকৃত আয়-ব্যয় অনুসন্ধান এবং ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারির সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধণী কমিটির আহ্বায়কের ক্ষোভ বিসিবি সভার আলোচ্যসূচি থেকে উদ্ধার করে তা ফেসবুকে পোষ্ট করলাম।
একটি সত্য না বলে পারছি না, বিসিবির সভায় যে সব বিষয় আলোচিত হয়, তার ১০%ও গণমাধ্যমকে পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবি বলেনি। কারণ, তার আমলে প্রতিটি সভায় এজেন্ডা লিস্টে সম্পূরক বাজেট অনুমোদনই পেয়েছে গুরুত্ব। প্রতিটি সভার এসব সম্পূরক বাজেট বিনা বাধায় অনুমোদিত হয়েছে। এসব এজেন্ডা উন্থাপন করেছেন সিইও। কাদের স্বার্থ রক্ষা পেয়েছে গুরুত্ব-এ উত্তরের ভার ছেড়ে দিলাম ফেসবুক বন্ধুদের হাতে।