বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গীতিকার তনিমা রায়ের আজ ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, মে ৮, ২০২৫

গীতিকার তনিমা রায়ের আজ ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী
তরুণ ছড়াকার কবি গীতিকার ও শিল্পী তনিমা রায় তনুর আজ ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। অসময়ে ঝরে যান এই সম্ভাবনাময় তরুণ লেখিকা। 
তনিমা রায় তনু একাধারে ছড়াকার কবি এবং গীতিকার। তার লেখা ও সুর করা গান রেডিও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুবার সম্প্রচার হয়েছে। বটিয়াঘাটা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র রায়ের একমাত্র কন্যা তনিমা রায় তনু।সুরজিৎ রায় ও তনিমা রায় দুই ভাই বোন। 
তনিমা রায় তনু বঠিয়াঘাটা হেডকোয়ার্টার পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেন। বটিয়াঘাটা মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করে খুলনা বিএল কলেজে ইংরেজিতে অনার্স করেন। পারিবারিকভাবে  তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তিনি মা হওয়ার সময় পারিবারিক অবহেলার কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে তৎকালীন সময়ে এলাকায় শোকের ছায়া নামে। মেয়ের অকাল মৃত্যুর খবর শুনে তার পিতা-মাতা এবং একমাত্র ভ্রাতা অধ্যাপক সুরজিত রায়  পাগল প্রায় হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গীতিকার তনিমা রায় তনুর জন্ম ১৯৭৪ সালের ২১ জুলাই। জন্মস্থান খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রাম। পিতা নারায়ণ চন্দ্র রায়, মাতা সন্ধ্যা রাণী রায়। তাঁর শিক্ষা জীবনের সূত্রপাত গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে জমা চক্রাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। অষ্টম শ্রেণী থেকে বটিয়াঘাটা থানা হেড কোয়ার্টার পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন। এ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৯১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বটিয়াঘাটা মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস ১৯৯৩-এ। উভয় পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগ। এরপর দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯৮-এ ইংরেজিতে বি.এ. (অনার্স) পাসের পর এম.এ. অধ্যয়নরত ছিলেন। শৈশব থেকেই তনু লেখালেখির সাথে জড়িত। ছড়া রচনার ভেতর দিয়েই তাঁর লেখার জগতে প্রবেশ। তাঁর অনেক ছড়া-কবিতা বেরিয়েছে জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি পান। তাঁর রচিত কিছু গান ষ্টুডিও রেকর্ডে গৃহীত হয়েছে। এছাড়া কণ্ঠ সংগীতে তাঁর ছিল অনন্য প্রতিভা। তিনি ছিলেন এক প্রতিশ্রুতিশীল লেখিকা। কিন্তু জীবনের সীমিত পরিসরে তাঁর প্রতিভা বিকাশের অবকাশ মেলেনি। ১৯৯৯ সালের ৮ মে, ক্ষণজন্মা এই প্রতিভাময়ীর অকাল মৃত্যু রুদ্ধ করে দেয় সব সম্ভাবনার সোনালি প্রত্যাশা ।
0 Comments