রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা, নিচ্ছেন লড়াইয়ের প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, জুন ২৭, ২০২৫

দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা, নিচ্ছেন লড়াইয়ের প্রস্তুতি

তাহলে বাংলাদেশের এই ভূমিকা থাকার কথা না।’

মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধের ব্যাপারটি ঐতিহাসিক এবং সম্প্রতি এটি আরও প্রবল হয়েছে রাখাইনে যুদ্ধের বাস্তবতায়। রোহিঙ্গাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে রাখাইন। তাদের বিষয়ে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ ব্যবস্থা করে নিয়েছে সরকারি বাহিনী বা রুলাররা। সেটাই বেড়েছে বিভিন্ন সময়।

‘যখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় আরাকান আর্মি আক্রমণ শুরু করে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে, তখন রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ সরকারি বাহিনীর পক্ষে অস্ত্রধারণ করেছে। এটা তো সত্য ঘটনা এবং সে কারণে তাদের মধ্যে শত্রুতা আরও বেড়েছে। এর ফলে আরাকান আর্মিও যখন অকুপাই (দখল) করেছে তখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এর ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে ব্যাপক হারে, এই যে গত এক-দেড় বছরে এক লক্ষ ২০ হাজার আসলো।’

উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দুই হাজারের বেশি সদস্য। কক্সবাজারে অবস্থিত এপিবিএন এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দাবি করছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

পিবিএন এর ডিআইজি প্রলয় সিসিন বলেন, ক্যাম্পে নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করেই কাজ করছে বিভিন্ন বাহিনী। ক্যাম্পের ভেতরে এই ধরনের অ্যাকটিভিটিজ (কর্মকাণ্ড) আমাদের চোখে পড়েনি।

তিন বলেন, ‘আমরা সবাই আমরা চাই, সবাই একমত হয়েছি যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু যেন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকটিভিটিজটা যেন আমরা করতে পারি। এই ধরনের স্বশস্ত্র গ্রুপ তাদের একটিভিটিজ যেন কোনোভাবেই না করতে দেয়া হয়। এগুলো বরদাশত করা হবে না।’

এপিবিএন এর কর্মকর্তা প্রলয় সিসিন বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই স্বশস্ত্র গ্রুপ যেন কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে। আমরা ২৪/৭ (সার্বক্ষণিক) কাজ করছি। আমাদের পুরোপুরি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পে অস্ত্র উদ্ধার আমরা বিভিন্ন সময়ে করেছি এটা চলমান আছে। যারা অপরাধী তাদের কাছে অস্ত্র আছে। আমরা গ্রেফতার করছি। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে হ্যান্ডমেইড, অটোমেটিক বা এসএমজি টাইপেরও আছে। আমরা চেষ্টা করছি এ ব্যাপারে যারা তদন্ত করছে দেখছে কোথা থেকে কীভাবে এগুলো এসেছে’, বলেন প্রলয় সিসিন।

0 Comments