নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, মে ২৬, ২০২১
সাতক্ষীরায় প্লাবিত অর্ধশত গ্রাম
বিশেষ প্রতিনিধি:
আশাশুনি শ্যামনগর ও দেবহাটার প্রায় ২৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম। কয়েকটি স্থানে স্থানীয় এমপি ডা: আ ফ ম রুহুল হকের নির্দেশনা মতে জেলা প্রশাসন সহ আমজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ আটকাতে সক্ষম হয়েছে।
আশাশুনি সদরে দয়ারঘাট, হরিশখালী, কুড়িকাওনীয়া লঞ্চঘাট, দৃষ্টিনন্দনপাড়া, কামারখালী, নাগলা ও কালীগঞ্জের বেশ কয়েকটি স্থানে ভেড়ীবাধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যায়। এখনও এসব স্থানে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে প্রায় কয়েক শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে স্থানীয়রা। ভেসে গেছে কয়েকশ’ মাছের ঘের।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ, পদ্মপুকুর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১৫টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল ব্ুধবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এবং আজ বৃহস্পতিবার ভোরবেলা থেকে বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা: আ ফ ম রুহুল হক দফায় দফায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পাউবো’র কর্মকর্তাদের সাথে জুম মিটিং এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি উপকুলীয়াঞ্চলের জেলা প্রশাসকগন ও পাউবো’র চীফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে এসব মতবিনিময় করেছেন। আজ সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রীকে বিষয়টি বিস্তারিত অবহিত করেছেন।
বুধবার ভোর থেকে থেমে থেমে দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। নদী প্রচ- উত্তাল। বুধবার সকাল ৭টা থেকে নদীতে জোয়ার শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে জোয়ার থাকবে। পূর্ণিমার ভরাকাটাল চলছে, জোয়ারের মধ্যে যদি যশ আছড়ে পড়ে তাহলে জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরে ৫৫টি স্থানকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় স্থানীয় মানুষ নিজেদেরকে রক্ষা করতে রাতদিন বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য।