শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতিল হলো ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ ১৫ আগস্টসহ আট জাতীয় দিবস

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

বাতিল হলো ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ ১৫ আগস্টসহ আট জাতীয় দিবস
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ আদেশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ স¤প্রতি এক বৈঠকে আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিগগির এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বাতিল হলো যেসব দিবস : ক. ঐতিহাসিক ৭ মার্চ । খ. ১৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস। গ. ৫ আগস্ট : শেখ হাসিনার ভাই শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী। ঘ. ৮ আগস্ট: শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী। ঙ. ১৫ আগস্ট : বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। চ.  ১৮ অক্টোবর : শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস। ছ. ৪ নভেম্বর : জাতীয় সংবিধান দিবস। জ. ১২ ডিসেম্বর : স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
গত ৭ অক্টোবর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঈদে ছুটি ৫ দিন, পূজায় ৩ দিন হচ্ছে : মুসলমানদের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসব পবিত্র রমজান ও কোরবানি ঈদের ছুটি পাঁচ দিন করে করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হবে। ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদনের জন্য এই সভায় উত্থাপনের কথা রয়েছে।
এছাড়া প্রত্যাগত অভিবাসী নীতিমালা অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
এর বাইরে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপন হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে। 


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোজা ও কোরবানি ঈদের ছুটি পাঁচ দিন করে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঈদের দিন এবং ঈদের আগে-পরে দুই দিন করে এই ছুটি নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।


ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে কয়েক বছর ধরে নির্বাহী আদেশে ঈদের ছুটি এক দিন করে বাড়িয়ে আসছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই ঈদ এবং দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এখন ঈদে তিন দিন এবং পূজায় এক দিন সাধারণ ছুটি থাকে। 
সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব রেখে ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলো সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

এই খসড়া অনুমোদনের জন্য আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপন হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। চাকুরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হলেও অবসরের বয়স বাড়বে কি না, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে ওই সূত্র জানায়।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের জন্য ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি। সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়স নির্ধারণের বিষয়ে সুপারিশ দিতে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহŸায়ক করে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি করে সরকার। 

পর্যালোচনা কমিটি চাকুরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কোনো সুপারিশ করেনি। 
বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকুরিতে ঢোকা যায়। আর ৫৯ বছর বয়সে অবসরে যান সরকারি কর্মচারীরা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকুরিতে যোগ দিতে পারেন, আর ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান।
0 Comments