আন্দোলন বাদেও সামাজিকভাবে বহু মানুষ আছেন-যারা বিভিন্ন ভাবে জন্মগত কারণেই হোক বা অসুখেই হোক, পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত চব্বিশের গণআন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতা ও দুস্থদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে যদি পরিবারের কোনও মানুষ পঙ্গু হয়ে থাকে, তিনি পরিবারের কাছে একটি বোঝার মতো হয়ে থাকেন। সেই পরিবারের কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। জনগণের সমর্থনে বিএনপি ইনশাআলাহ আগামীতে সরকার গঠনে সক্ষম হলে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে আমাদের একটা উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকবে সমগ্র বাংলাদেশে তিনি যে পরিবারের সদস্য হোন, স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ হোন, আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করবো যেসব পরিবারে এরকম সদস্য আছেন, তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যাতে পঙ্গু মানুষগুলো নিজেরা যতটুকু সম্ভব সাবলম্বী হতে পারেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষকে আমি বলতে চাই কারও মাধ্যমে যাবার দরকার নাই, আপনি নিজে যদি মনে করেন, আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী একজন হোক দুজন হোক পাঁচ জন হোক আপনি কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারবেন সেই মানুষটাকে চলাফেরায় হোক বা অন্যভাবে হোক সাবলম্বী করে দেওয়ার। দয়া করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত হবার দরকার নাই। আপনি নিজ উদ্যোগে নিজ অবস্থান থেকে করতে পারেন। আমরা সবাই যদি সবার সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তাহলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-আজ না হলে কাল, কাল না হলে পরশু আমরা যেরকম একটি বাংলাদেশ নিজেদের মনে কল্পনা করি, সেরকম একটা বাংলাদেশের সূচনা দেখতে সক্ষম হবো।
তারেক রহমান বলেন, এই মুহূর্তে দেশ যে স্বৈরাচারমুক্ত বা এটি অর্জন করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে দলমত নির্বিশেষে অনেক মানুষ, অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্মী, অনেক ক্ষেত্রে অরাজনৈতিক কর্মী বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মানুষকে কতটুকু সাহায্য করা সম্ভব ব্যক্তিগত ভাবে আমি জানি না। আমরা হয়তো কেউই জানি না। কিন্তু যে মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যারা শহিদ হয়েছেন, তারাতো চলেই গেছেন, তাদের পরিবারের মানুষরা রয়ে গেছেন। যারা বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন-তাদের পাশে কতটুকু দাঁড়াতে পারবো আমি বলতে পারবো না। কিন্তু আমি মনে করি, তারা দেশের জন্য আমাদের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। আমাদের দায়িত্ব আমাদের কর্তব্য যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানো।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠনে সক্ষম হবে। যারা শহিদ হয়েছেন, যারা স্বৈরাচারদের বিদায় করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, এ রকম প্রতিটি মানুষের নামে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হবে, এই মানুষগুলো যাতে হারিয়ে না যায়, তাই এই শহিদদের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করা হবে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এড. রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত প্রমুখ।